কিশোরগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৯
-68bed7e054029.jpg)
আহত সাংবাদিক সাব্বির হোসেন ও অভিযুক্ত হাসিবুল হোসেন শান্ত । ছবি : সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক সময় কণ্ঠস্বরের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন (২৭)।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে হাসিবুল হোসেন শান্তসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১১টার দিকে সাব্বির হাসপাতালের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। দুপুর ১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় অভিযুক্ত হাসিবুল ও তার সহযোগীরা এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং তাদের বক্তব্য আগে নেওয়ার দাবি তোলে। সাব্বির শান্তভাবে অপেক্ষা করতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। এতে তার নাক-মুখে আঘাত, ঠোঁট ফেটে রক্তক্ষরণ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন হয়। পরে আন্দোলনরত ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে হাসিবুল স্বীকার করেন, তিনি ভুলবশত এই হামলা চালিয়েছেন। তার দাবি, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির বিগত কমিটিতে কিছু অবিপ্লবী যুক্ত ছিল। আমি ভেবেছিলাম সাব্বির তাদের লোক। পরে জানতে পারি তিনি সাংবাদিক।’
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বিলুপ্ত ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা দুঃখিত এবং তার পাশে থাকব।’
হামলার শিকার সাব্বির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সকাল থেকে কাজ করছিলাম। হঠাৎ এমন হামলার শিকার হলাম। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা যদি না থাকে, তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে?’
কিশোরগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্প্রতি সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগে গাজীপুরে হামলায় সাংবাদিক তুহিন নিহত হওয়ার ঘটনাও এখনো মানুষের মনে তাজা।
এআরএস