Logo

সারাদেশ

কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির অ্যাঞ্জেলফিশ

Icon

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৪

কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির অ্যাঞ্জেলফিশ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে গিনি অ্যাঞ্জেলফিশ বা আফ্রিকান অ্যাঞ্জেলফিশ নামে একটি বিরল প্রজাতির মাছ। সোমবার জেলে আ. জলিল মাঝির জালে এই মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি স্থানীয় আলীপুর মৎস্য বন্দরে আনা হলে তা দেখতে মৎস্য বন্দরে হইচই শুরু হয়। অনেকের কাছে এটি অ্যাকুরিয়াম ফিশ নামেও পরিচিত। রঙিন ও দৃষ্টিনন্দন এই সামুদ্রিক মাছ মূলত উষ্ণম-লীয় প্রবাল প্রাচীরের পরিবেশে বাস করে। বৈজ্ঞানিক নাম Holacanthus africanus।

মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ ইঞ্চি। গায়ের গাঢ় সোনালী পটভূমিতে হলুদ অনুভূমিক দাগ এবং মুখে হালকা হলুদ-সোনালী ‘মাস্ক’ প্যাটার্ন রয়েছে। জেলে আঃ জলিল জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামের একটি ফিলিং ট্রলারে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল বলেন, ‘এমন মাছ আমার জীবনে দেখিনি। মাছটি দেখতে একুরিয়ামে থাকা মাছের মতো। বাসার সবাইকে দেখানোর জন্য ছবিও তুলেছি।’

বারবিকিউ ও ফেরাই ব্যবসায়ী মো. সেলিম জানান, ‘প্রথম দেখে আমি বাসায় নিয়ে এসেছি। তবে এ ধরনের মাছ আমি এই প্রথম দেখলাম। খাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আমার জানা নেই।’

উপকূল পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন রাজু বলেন, ‘মাছটি সাধারণত প্রবাল প্রধান, লবণাক্ত ও উষ্ণ সমুদ্র অঞ্চলে থাকে। আমাদের উপকূলীয় অংশ মূলত কাদামাটি ও বালুময়, তাই এই মাছ সচরাচর ধরা পড়ে না। জলবায়ু পরিবর্তন ও স্রোতের ধরন বদলের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু সামুদ্রিক প্রজাতি তাদের আবাসক্ষেত্র প্রসারিত করছে। সম্ভবত এই কারণেই মাছটি বাংলাদেশের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘মাছটির বাংলা নাম গিনি অ্যাঞ্জেলফিশ। এটি একটি বিড়ল প্রজাতির মাছ। উপকূলে সচরাচর দেখা যায় না। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে জালের জালে উঠে এসেছে। এটি জেলেদের জন্য সুখবর। এ ধরনের মাছ যত বেশি ধরা পড়বে, জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে তত বেশি লাভবান হবে।’

জাকারিয়া জাহিদ/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বঙ্গোপসাগর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর