আমদানি কমলেও রপ্তানিতে চাঙা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

এসকে দোয়েল, পঞ্চগড়
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৮
-68c0245e969c7.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে চতুর্দেশীয় বাণিজ্যিক যোগাযোগের একমাত্র কেন্দ্র বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। বন্দরটি ঘিরে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। তবে গত ২৮ বছরে প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি। ভূরাজনীতি ও নানান জটিলতায় ধীরগতিতেই এগিয়েছে এই বন্দর।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমদানি প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। পাথরনির্ভর এ বন্দরে আমদানির ঘাটতি ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধাক্কা লাগে। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন পাথর কম আমদানি হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাও ছিল বড় প্রতিবন্ধকতা।
তবে সেপ্টেম্বর থেকে ভারত ও ভুটান থেকে আবারও পাথর আসতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে নেপালে আলু, পাট, প্লাস্টিক পণ্য ও খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ টন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১১০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) লক্ষ্য ১১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা হলেও ইতোমধ্যে আদায় হয়েছে ১৬৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয় জানায়, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত নেপালে ২৪ হাজার ৫২৮ টন আলু এবং ১৭ হাজার ৬৩৩ টন পাট রপ্তানি হয়েছে। পাটের পাশাপাশি দেশের লাল আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সেখানে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের দাবি, রপ্তানি বাড়লেও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, শুল্ক জটিলতা ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান করা গেলে এই বন্দর দেশের প্রধান স্থলবন্দরে পরিণত হতে পারে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বন্দরটি মূলত পাথর আমদানি নির্ভর হলেও বর্তমানে রপ্তানি কার্যক্রমে গতি এসেছে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করছে। পাট, আলু, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও গার্মেন্টস ঝুট রপ্তানি বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমদানি কিছুটা কমলেও রপ্তানি বেড়েছে ১৫-২০ হাজার টন। এতে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। তবে চার দেশীয় বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও জোরদার করা গেলে এই বন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’
এআরএস