Logo

সারাদেশ

‘রাজাকার ও আল-বদরের বাচ্চারা আমাকে ‘ফজু পাগলা’ ডেকে বাঁচতে চায়’

Icon

আব্দুর রউফ ভুঁইয়া, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২২

‘রাজাকার ও আল-বদরের বাচ্চারা আমাকে ‘ফজু পাগলা’ ডেকে বাঁচতে চায়’

বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান । ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘আপনাদের কি মনে হয়, আমি ফজু পাগলা? আমাকে কি পাগল মনে হয়? শুধু আল-বদর ও রাজাকারদের বাচ্চারা ছাড়া আমাকে কেউ ‘ফজু পাগলা’ বলে না। আসলে আমাকে ‘পাগলা’ উপাধি দিয়ে তারা বাঁচতে চায়।’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘দল আমাকে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে, আমি তা মেনে নিয়েছি। তবে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। দলের কাছে এটাই আমার অনুরোধ। জনগণও চাইবে দুইটি জিনিস—ফজলুর রহমান এবং ধানের শীষ মার্কা।’

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামিকে উদ্দেশ্য করে, ‘মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু জামাত বলছে এটি ছিল ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের দ্বন্দ্ব। তারা দাবি করে ভারত এটা প্ররোচিত করেছিল। আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই থাকব, কোন আপস নেই। যারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে, তাদের আমি ছাড়ব না।’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘যখন দেখলাম দেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে, ৩০ লাখ মানুষের রক্ত বৃথা যাচ্ছে, দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত বৃথা যাচ্ছে, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি ছাড়ব না। যারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে, তাদের বিরুদ্ধে আমি জোরালো অবস্থান নেব।’

ফজলুর রহমান জামাতের আমিরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘আপনার বাড়ি সিলেটে। সিলেটে ১৯টি আসন আছে। কোন আসনে দাঁড়াবেন বলেন। আমি আমার দল থেকে সেই আসনে দাঁড়াবো। ১৯টির মধ্যে একটিতেও যদি আপনি জয় পান, তাহলে ভাববো আপনারা সৎ পথে আছেন।’

মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মিঠামইন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীম। অনুষ্ঠানে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও কয়েক হাজার জনতা মিছিলসহ উপস্থিত ছিলেন। বিকাল থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান সন্ধ্যায় শেষ হয়।

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বিএনপি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর