নেত্রকোনায় স্পিডবোট ডুবি: আরও ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৬

ছবি : বাংলাদেশের খবর
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর ধনু নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় আরও তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
উদ্ধার হওয়া মরদেহ লায়লা আক্তার (৭), সামিয়া আক্তার (১১) ও শিরিন আক্তারের (১৮) বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের স্বজনরা।
এর আগে শনিবার ঊষামণি (৫) নামের আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। মৃত ঊষামণি খালিয়াজুরী আন্ধাইর গ্রামের মোফায়েল মিয়ার মেয়ে।
লায়লা আক্তার (৭) আন্ধাইর গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে, সামিয়া আক্তার (১১) সামছু মিয়ার মেয়ে, এবং শিরিন আক্তার (১৮) নবাব মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র এবং উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার আন্ধাইর গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বিয়ে উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা থেকে একটি স্পিডবোট ভাড়া আনা হয়। বরসহ বরযাত্রীদের ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামের কনের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আগে স্পিডবোটটি হাওরে ঘুরতে যায়।
এ সময় ধনু নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাল্কহেডকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। হুড়োহুড়ির একপর্যায় স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এতে চারজন নিখোঁজ ও তিনজন আহত হন। বাকিরা সাঁতার কেটে তীরে উঠেন।
বেঁচে ফেরা আন্ধাইর গ্রামের ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘স্পিডবোটটি একটি নৌকার সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে নৌকায় থাকা লোকজন চালককে মারধর করে এবং স্পিডবোটটি ডুবিয়ে দেয়। আমরা দাবি করি, ওই নৌকার লোকদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ কাদের জানান, ‘ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করা হবে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এআরএস