---2025-09-15T105214-68c79c753bc6a.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাগেরহাটে সংসদীয় আসন ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে জেলাজুড়ে পালিত হচ্ছে তিনদিনের হরতাল কর্মসূচির প্রথম দিন। এতে দূরপাল্লার পরিবহন ও ট্রাক ছাড়া তিন চাকার যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচল করত পারবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার এবং অভ্যন্তরীণ রুটে কোন যানবাহন চলাচল করছে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করছে, মহাসড়ক ও ছোট ছোট সড়কে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা শুধু মহাসড়কে হরতাল করছি। ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ দুই চাকার সকল যান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হরতালের আওতামুক্ত রয়েছে। যার কারণে আজকের হরতালে জনগণের ভোগান্তি নেই।
এদিকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা বলছেন, চারটি আসন বহাল রাখতে হবে। বাগেরহাট বাসির ন্যায্য অধিকার ফিরে দিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে জানান জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।
তিনি বলেন, চারটি আসন বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য দাবি। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চলবে। এছাড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট করব। আশাকরি আদালত আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিকার দিবেন।
হরতালের প্রথম দিনে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল- সন্ধ্যা, মঙ্গল ও বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপযুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করা হবে।আর আগে দুই দফা হরতাল ও অবরোধ পালন করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসনবিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল।তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
- শেখ আবু তালেব/এমআই