Logo

সারাদেশ

‘রহস্যজনকভাবে মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের অসংখ্য নৌযান’

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪০

‘রহস্যজনকভাবে মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের অসংখ্য নৌযান’

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশের অসংখ্য নৌযান রহস্যজনকভাবে মিয়ানমারের জলসীমায় যাতায়াত করছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রামু সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে রাডার, ড্রোন, নাইট ভিশন ডিভাইস ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে ধরা পড়ছে, দেশের নৌযানগুলো জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বিজিবির উর্মি রেস্ট হাউসের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সেক্টর কমান্ডার।

বিজিবির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, নাফ নদী এবং উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা হয়ে দুটি প্রধান রুট দিয়ে মাদক চোরাচালান হচ্ছে। সাগর উপকূলীয় এসব রুটে ৮০ শতাংশ মাদক পাচারের ‘ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট’ বিজিবির হাতে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই রুট ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে আসা মাদক শুধু বাংলাদেশেই বিস্তার লাভ করছে না, অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে। যা আমাদের যুবসমাজ ও অর্থনীতির জন্য হুমকি।’

গত ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিজিবি ২৮ লাখের বেশি ইয়াবা, প্রায় ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথসহ ৮৮ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে। এ সময় ২২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উদ্ধার করা অস্ত্র মিয়ানমার থেকে আনা হয়েছে। রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর তারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানে জড়িয়েছে।’

তিনি আরও জানান, গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত সমুদ্র থেকে আরাকান আর্মি ২২৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। বিজিবির প্রচেষ্টায় ১২৪ জন ফিরে এলেও এখনো ১২টি ট্রলারসহ ১০৪ জন আটক রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ জন বাংলাদেশি এবং ১৩৩ জন রোহিঙ্গা।

‘তাদের ফেরাতে বিজিবি কৌশলগতভাবে চেষ্টা করছে। তবে আরাকান আর্মির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। বিকল্প মাধ্যমে কাজ করতে গিয়ে সময় লাগছে,’ বলেন মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করার পর আটক হয়েছে। আমাদের জলসীমায় ঢুকে কাউকে ধরে নেওয়ার সাহস কারও নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাগরপথে মাদক প্রতিরোধে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করলেও বিজিবি তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় সচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা এবং ক্রীড়া আয়োজনের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিজিবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর