বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৩

বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে বাগেরহাটবাসীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জমায়েত হন। পরে তারা নির্বাচন অফিসের প্রধান গেট ঘিরে রাখেন। এ সময় অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সুপ্রিম কোর্টে বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন এবং চিতলমারি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল পৃথক দুটি রিট দাখিল করেছেন।
রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গাৎসবের কারণে হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে। বুধবারও সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একইভাবে কার্যক্রম চলবে। দাবি-দাওয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চলবে।
জামায়েতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস জানান, ইতোমধ্যে দুটি রিট দাখিল করা হয়েছে। আরও রিটের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আদালত ন্যায়বিচার করবেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর থেকে স্থানীয়রা আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে তিনটি আসনই রেখেছে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) করা হয়েছে।
শেখ আবু তালেব/এমবি