বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচন অফিস ঘেরাও

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:১১
-68ca5f18c7a18.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন। এতে নির্বাচন অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। ঘেরাও কর্মসূচি দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে।
এদিকে চারটি আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে বাগেরহাটে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানান, দুর্গোৎসবের কারণে হরতালের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আসন বহালের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘেরাও এবং আন্দোলন চলবে।
সংগঠনের সদস্য সচিব ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়াতে হরতাল স্থগিত করা হয়েছে। তবে আইনি লড়াই ও রাজপথে আন্দোলন একসঙ্গে চলবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, হাইকোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে গণশুনানি শেষে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। নতুন সীমানায় আসনগুলো হলো— বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল— বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। নির্বাচন কমিশনের নতুন গেজেটকে গণদাবির প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসন বহালের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
শেখ আবু তালেব/এমএইচএস