Logo

সারাদেশ

খাগড়াছড়ির সরু সড়ক-বাঁকে ‘মরণ ফাঁদ’, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

Icon

ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৯

খাগড়াছড়ির সরু সড়ক-বাঁকে ‘মরণ ফাঁদ’, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কটি অতিরিক্ত বাঁক ও সরু হওয়ার কারণে দুর্ঘটনার হুমকিতে পরিণত হয়েছে। মাসে প্রায়ই ছোট-বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের সঙ্গে পর্যটকবাহী যানবাহনের চাপও বাড়ায় নিরাপদ যাতায়াতের জন্য সড়ক প্রশস্তকরণ ও বাঁক সরল করার দাবি জানিয়েছে চালক ও যাত্রীরা।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে মোট ৫২টি বাঁক রয়েছে। ভৌগলিক কারণে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ সড়ক আঁকাবাঁকা। ১৯৮০ সালে নির্মিত এই সড়কগুলো অপ্রশস্ত হওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন তৈরি হয়। উঁচু-নিচু ও সরু পথে ট্রাক, বাস ও পর্যটকবাহী যানবাহনের চলাচলকে কঠিন করে তুলেছে।

সাজেকগামী যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। সরু ও বাঁকযুক্ত সড়কে যাতায়াত করতে সময় বেশি লাগে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। এ কারণে সড়ক প্রশস্তকরণ ও বাঁক সরল করার দাবি চালক ও যাত্রীরা তুলেছেন।

পথচারী গণেশ ত্রিপুরা বলেন, ‘খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়ক খুবই ছোট। রাস্তার পাশে চলার সময় আমরা আতঙ্কে থাকি। গাড়ি উল্টে খাদে পড়ে যায়। সড়কটি দ্রুত বড় করা হলে সবার জন্য সুবিধা হবে।’

প্রতিভা ত্রিপুরা বলেন, ‘বাচ্চাদের স্কুলে নেওয়ার সময় ভয় হয়। রাস্তা ছোট, দুইটি গাড়ি আসলে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার বাইরে চলে যেতে হয়। রাস্তা প্রশস্ত হলে সাধারণ পথচারীরাও নিরাপদে চলতে পারবে।’

জীপ চালক মো. ইব্রাহীম মিঞা জানান, ‘বড় যানবাহন আসলে রাস্তা থেকে নেমে যেতে হয়। বাঁক ও উঁচু-নিচু সড়কে কাঠ ও বাঁশ বোঝাই ট্রাক প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সড়ক ৬ ফুট প্রশস্ত হলে সুবিধা হবে।’

জেলা মহাসড়কের সড়ক ১৮ ফুট প্রশস্ত হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে ১০-১২ ফুটের সরু পাহাড়ি পথ দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সাজেকগামী পর্যটকবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়ক প্রশস্ত করলে বাঁক কমবে এবং দুর্ঘটনা কমবে।’

সড়ক ও জনপদ বিভাগ খাগড়াপুর থেকে দীঘিনালা বাসস্টেশন পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের প্রকল্প নিয়েছে। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের মার্চে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

খাগড়াছড়ি সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দুই পাশে সম্প্রসারণ করে মোট ১৮ ফুট প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে যান চলাচলে সুবিধা হবে।’

প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর