ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুর : নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মামলা

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৮
-(39)-68cb69a19d38c.jpg)
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। ছবি : সংগৃহীত
ফরিদপুরের ভাঙ্গায়সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থানা ঘেরাও এবং পুলিশের যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলাটি দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাদুজ্জামান। এজাহারে মোট ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়াকে। এ মামলায় থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ফলে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের একটি গেজেটে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনের আওতাধীন আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দারা ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন।
ইউএনও’র আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তিন দিনের সময় বেঁধে অবরোধ স্থগিত করেন। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় ৯-১১ সেপ্টেম্বর আবারও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
পরবর্তী দফায় ১৪-১৬ সেপ্টেম্বর রেলপথ যুক্ত করে দ্বিতীয় দফা অবরোধ শুরু হলে রাজবাড়ী ও ভাঙ্গা জংশনে তিনটি ট্রেন আটকে পড়ে, ফলে যাত্রীদের মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্দোলন দমন করার হুঁশিয়ারি দেন। একই দিনে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ মোট ২৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ম. ম. সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর, অবরোধের তৃতীয় দিন আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদসহ কমপক্ষে ২০টি সরকারি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়, যার মধ্যে ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে থানা, ইউএনও অফিসসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ছিল।
- ইমরান মুন্সী/এমআই