কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় ওয়ার্ড বয় গ্রেপ্তার, হাসপাতাল সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁদপুর
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৪
-(44)-68cb84beb596d.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শহরের তালতলা দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালে অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্ম হয় এই হাসপাতালে। নবজাতক দাফনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসে এবং ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে আজ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবরস্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মিলেনি। হাসপাতালের চিকিৎসক নেই, প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সঙ্গে পোস্ট-অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সু-ব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্র নবায়ন হয়নি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রোগীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযানের কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর রিপোর্ট করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল এবং জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।
অপরদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।
- আলআমিন ভূঁইয়া/এমআই