শেরপুরে কমতে শুরু করেছে নদীর পানি, ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২৯
শেরপুরে কমতে শুরু করেছে নদীর পানি, ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার। ছবি : বাংলাদেশের খবর
শেরপুরে পাহাড়ি এলাকার চারটি নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ কিছুটা কমলেও ভাটি অঞ্চলে নতুন করে অন্তত পাঁচটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খৈলকুড়া বাজার এলাকায় পানির তীব্র স্রোতে মুহূর্তেই ভেসে যায় এসব ঘর। এতে বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে মহারশি ও চেল্লাখালী নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নালিতাবাড়ীর বুরুঙ্গা ব্রিজ এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়ুন (১২) ও তার চাচাতো ভাই আতিক হাসান। বৃহস্পতিবার রাতে হুমায়ুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন ঝিনাইগাতীর তামাগাঁও এলাকায় নদীতে ভেসে আসা গাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইসমাইলের (১৭) মরদেহ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খৈলকুড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়।

কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। জেলার লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপণ প্রায় শেষ হলেও ঝিনাইগাতীতে অন্তত ১১৩ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
শুক্রবার সকালে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলার সব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভাটির এলাকায় শঙ্কা কাটছে না।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। একটি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করেছি। তাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদা প্রেরণ করেছি। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ আমাদেরও দাবি।
শাহরিয়ার শাকির/এমবি

