রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২৪
-(12)-68cfc45a96987.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দীপকের নানা অনিয়ম, স্কুলে অনুপস্থিত, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।
রোববা (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার দক্ষিণবাগ এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে শতাধিক অভিভাবক ও স্থানীয়রা এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন, অনিয়মের মাধ্যমে স্কুলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন এবং সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে সাংবাদিকদেরও লাঞ্ছিত করছেন।
অভিভাবক বাবুল মিয়া বলেন, স্কুলের টিনের চাল ভেঙে পানি পড়ে, কিন্তু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। বাজেট নিয়ে প্রশ্ন করলে নানা টালবাহানা করেন। তার দ্রুত বদলির দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের জমির মালিক মুমিন মিয়া অভিযোগ করেন, ‘২০১৮ সাল থেকে শিক্ষক হরিকান্ত স্কুলে নিয়মিত ডিউটি করেন না। জমির দালালি করাই তার মূল কাজ। অবহেলার কারণে ছাত্র সংখ্যা ৫০০ থেকে কমে মাত্র ২৪ জনে নেমেছে। এমনকি স্কুলের ফ্যান, বৈদ্যুতিক তার ও আসবাব চুরি হলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।’
এলাকাবাসী জালাল উদ্দিন বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর ফ্যান ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি হলেও তিনি দাম্ভিক ভঙ্গিতে বলেন, তাকে স্কুল থেকে তাড়ানোর মতো লোক নেই।’
অভিভাবক কুলসুম বেগম বলেন, ‘শিক্ষকের ভাষা-চলন শিক্ষার্থীদের জন্য মানানসই নয়। আমরা চাই এই শিক্ষককে অপসারণ করা হোক।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৫ জুলাই দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে নওরোজ পত্রিকার প্রতিনিধি নাজমুল হোসেনকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার। এসময় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষক সাংবাদিককে ‘বেয়াদবের বাচ্চা’ বলে গালি দেন এবং মারধরের হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে উদ্যত হন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।’
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হরিকান্ত সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তারা দ্রুত তার অপসারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দ্রুত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আরও কঠোর অবস্থান নিবেন।
- এন বি আকাশ/এমআই