রংপুরে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন সাংবাদিকরা।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরীর কাচারীবাজার থেকে লিয়াকত আলী বাদল নামের ওই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি দৈনিক পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

লিয়াকত আলীর অভিযোগ, রকি নামের এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা তাকে তুলে নিয়ে মারধর করেছেন। তিনি বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনের অটোরিকশার লাইসেন্স নিয়ে দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় এ হামলা হয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে রকি ও তার লোকজন আমাকে তুলে নেয়।’

পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে করপোরেশনের কর্মচারীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে দুজন আহত হন।

রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান বলেন, ‘বাদল একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। প্রকাশ্যে তাকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে, যা ন্যক্কারজনক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।’

সংগঠনটির সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, ‘হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাকে দ্রুত প্রত্যাহার না করা হলে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের সভাপতি শাহ বায়েজিদ আহমেদ বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধর নজিরবিহীন ও উদ্বেগজনক। আমরা সিইও উম্মে ফাতিমার প্রত্যাহার দাবি করছি।’

আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় মানববন্ধনসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

সাহানুর রহমান/এআরএস