মাধবদী পৌরসভার টেন্ডার বিতর্ক : সময় বাড়ানো হলেও আবেদন নিতে গড়িমসি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৫৭

নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার চলমান দুটি টেন্ডার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে অভিযোগ ও কর্তৃপক্ষের ওপর ঠিকাদারদের সন্দেহের ছায়া পড়েছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, টেন্ডারের শর্তাবলিতে হঠাৎ সংশোধনী জারি এবং সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক। মেসার্স মিঠু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনির উদ্দিন পাঠানের অভিযোগ, ২০ আগস্ট প্রকাশিত টেন্ডার সিডিউলের আওতায় ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু একই দিনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সংশোধনী-১ জারি করে, যাতে প্রকৃতপক্ষে কোনো পরিবর্তন আনে নি কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়েই আমি টেন্ডার জমা দিয়েছি। হঠাৎ সংশোধনী দেখানো হলো। আবার টেন্ডার জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হলেও কেন সিডিউল কেনার সময় বাড়ানো হলো না, সেটিই এখন প্রশ্ন।
অথচ নিয়ম অনুযায়ী, হয় শেষ দরপত্র বিক্রির তারিখ ও সময় বাড়াতে হবে, অথবা নতুন রি-টেন্ডার আহ্বান করতে হবে।
পৌরসভার নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
অভিযোগকারী বলেন, সময় বাড়ানো সত্ত্বেও তার আবেদন গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
যে কারণে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে এলজিইডি মাধ্যমে আহ্বানকৃত এই টেন্ডারে শর্তাবলী মেনে অংশগ্রহণকারীদের অন্যায্যভাবে সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাধবদী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম এবং প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা নরসিংদী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা জাহান সরকার বাংলাদেশের খবরের ফোন বা বার্তার কোনো সাড়া দেননি। নরসিংদী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী ফুলকাম বাদশা বাংলাদেশের খবরকে বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করুন। প্রমাণ মিললে টেন্ডার বাতিল হবে।
তবে স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, যদি দরপত্র জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হয়, তাহলে কেন সিডিউল কেনার সময় বাড়ানো হলো না? এটা কি শুধু মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য?
এ ঘটনার পর মাধবদী পৌরসভার টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ঠিকাদাররা দাবি করছেন, যথাযথ নিয়ম না মানা হলে প্রতিষ্ঠান ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উপর বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ হবে এবং অন্যায় সুবিধাভোগীরা প্রাধান্য পাবে।
এনএমএম/এমএইচএস