সেবা চাইলেন ভূমি মালিকরা, চাপের মুখে পালালেন তহশিলদার
 
						মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৪
---2025-09-25T191347-68d54047e05b5.jpg) 
					ছবি : বাংলাদেশের খবর
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা ও নামজারিসহ নানা সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভূমি মালিকরা। সেবার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে তাদের।
অভিযোগ উঠেছে, কাজ করতে হাতে-পায়ে ধরতে হয় তহশিলদারের। অনিয়মিত উপস্থিতি ও নির্ধারিত সময় মেনে অফিসে না আসাও যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও সুরাহা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালে হঠাৎ করেই অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) আতিকুর রহমান। গত ২৩ সেপ্টেম্বরের এ ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে যোগ দিচ্ছেন না।
অভিযোগকারীদের দাবি, দক্ষ একজন কর্মকর্তাকে দ্রুত এ অফিসে নিয়োগ দিতে হবে।
জানা গেছে, সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার জাকির হোসেনের মৃত্যুর পর অফিস কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ে। প্রায় ১৫ দিন পরে চুয়াডাঙ্গা থেকে আতিকুর রহমানকে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু যোগদানের পর থেকেই তিনি নানা অজুহাতে ভূমি মালিকদের হয়রানি করতে থাকেন। খাজনা পরিশোধ, হোল্ডিং খোলা বা নামজারি কেসের রিপোর্ট-সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় গড়িমসি।
২৩ সেপ্টেম্বর একাধিক ভূমি মালিক অফিসে গেলে তিনি নামজারি কেসের রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ হন। এ সময় কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
উপস্থিতরা পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমি জনগণের সেবার জন্য নই, আমি আছি সরকারি অফিস রক্ষা করার জন্য।
এর পরপরই চাপ সামলাতে না পেরে তিনি গোপনে মাইক্রোবাস ডেকে অফিস থেকে পালিয়ে যান।
ভূমি মালিক নাসির উদ্দিন, ইয়ারুল ইসলাম, আলী হোসেন, লিয়াকত, আব্দুল হামিদ, আনিসুর রহমান, শহিদুল, মুকুল মহরী, নজরুল মাস্টার, আনিস মাস্টার, তোফাজ্জেল, সাইফুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম ও এনায়েত আলীসহ অসংখ্য সেবাপ্রার্থী বলেন, আতিকুর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁরা নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রতিটি কাজেই দেরি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তারা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন।
গাংনী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিদ হোসেন বলেন, ‘অফিসে ঝামেলা হয়েছিল বলে শুনেছি। তিনি মৌখিকভাবে অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। যদি তিনি আর যোগদান না করেন, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিনি কেন অফিসে আসছেন না, সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
- আকতারুজ্জামান/এমআই


 
			