Logo

সারাদেশ

গাইবান্ধা-২ : আওয়ামী লীগ নেই, লড়াই হবে বিএনপি-জামায়াতের

Icon

আতিকুর রহমান, গাইবান্ধা

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৯

গাইবান্ধা-২ : আওয়ামী লীগ নেই, লড়াই হবে বিএনপি-জামায়াতের

গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর

গাইবান্ধা-২ আসনের নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠছে। শহর ও গ্রামে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য উঠান বৈঠক, মিটিং ও আলোচনা সভা করে যাচ্ছেন। জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলার এই আসন রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ আসনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা আমির ও সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিম সরকারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিএনপির প্রার্থীর বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা না হলেও জেলার সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের প্রার্থী মাহমুদুন নবী টিটুল জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

নেতাকর্মীরা শহর ও গ্রামে ভোট প্রচারণায় জোর দিচ্ছেন। বিএনপি বিভিন্ন ইউনিয়নে কাউন্সিলের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াচ্ছে। জামায়াতও দাওয়াতি কার্যক্রম ও জনসংযোগ করে যাচ্ছে।

শহরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। মহাজোটের সহযোগী দলগুলোও সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না এবং অনেক নেতাকর্মী বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গাইবান্ধা-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯১ জন। এ বছর নতুন ভোটার হয়েছেন ২৩ হাজার ৮১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটারও রয়েছেন ৬ জন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার ২৭৮ ভোটার ভোট দেবেন।

২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মাহাবুব আরা বেগম এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে শাহ সারোয়ার কবির স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তবে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ এবং রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেওয়ায় শাহ সারোয়ার কবির সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাদিম মিয়া বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা ভোট কেন্দ্রে যাব। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে জয়ী করব।’

একই এলাকার রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার ও হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারসহ দেশের সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজু বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন ইউনিয়নে কাউন্সিল দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতি নেব।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করতে দেখেছি। মনোনয়ন পেলে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করব।’

জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল করিম সরকার বলেন, ‘জামায়াত বরাবরই জনগণের পাশে থেকে সমাজসেবার কাজ করে। আমাদের প্রার্থীকে জনগণ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।’

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর