দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে, ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ

সাহানুর রহমান, রংপুর
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৪

ছবি : বাংলাদেশের খবর
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ১৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু ও রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন অন্তত ৩০–৩৫ হাজার মানুষ। হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ধসে যেতে পারে সেতুটি।
গত ১১ আগস্ট সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ আগস্ট থেকে ধস ভাঙনে রূপ নেয়। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখা গেছে, বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। ফলে রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়কসহ লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ৭০০ পরিবার সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছে। ভাঙন আরও বাড়লে এসব পরিবারের ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে থেকেই বাঁধের ব্লক ধসে পড়ছিল। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বাঁধসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রিপন ও কাইয়ুম বলেন, প্রতিদিন ভাঙন বাড়ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
ব্যবসায়ী শাহনাজ বেগম জানান, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শহরে যাই। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থী বাদশা মিয়া বলেন, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে দেখি বাঁধ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। কাল হয়তো রাস্তা থাকবে না।
স্থানীয় কৃষক খোরশেদ আলী অভিযোগ করেন, আবাদি জমি নদীতে চলে যাচ্ছে অথচ এলজিইডি শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কোনো কাজ করছে না।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমরা বারবার এলজিইডিকে জানিয়েছি। তারা শুধু বলেছে দেখবে। এখন পুরো সেতু হুমকির মুখে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআরএস