Logo

সারাদেশ

বরিশালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেয়াল নির্মাণ, ২০ পরিবার অবরুদ্ধ

Icon

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৪

বরিশালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেয়াল নির্মাণ, ২০ পরিবার অবরুদ্ধ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার তিখাসার এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তৃতীয়বারের মতো চলাচলের একমাত্র রাস্তার ওপর দেয়াল তুলেছেন প্রবাসী কামাল সরদার। এতে অন্তত ২০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাড়াটে শ্রমিক এনে দেয়াল নির্মাণ করেন কামাল সরদার। ভয়ে স্থানীয় কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পাননি।

ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান খান বলেন, ‘রাস্তার ওপর দেয়াল নির্মাণ না করার বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পুলিশ বিষয়টি রহস্যজনকভাবে উপেক্ষা করেছে। এ সুযোগে প্রবাসী কামাল সরদার ভাড়াটে লোকজন দিয়ে রাস্তার মধ্যে দেয়াল তুলেছেন।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নুরুজ্জামান খানের আবেদনের পর ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারক ওই সম্পত্তির ওপর ১৪৪/১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই দিন গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. আমির হোসেন বিবাদীর উপস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেন। এ বিষয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর আদালতে শুনানির দিন ধার্য আছে।

এর আগে গত মাসে প্রথম দফায় দেয়াল নির্মাণ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তা ভেঙে দেন। দ্বিতীয় দফায় চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর দেয়াল তোলার পর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান সরেজমিন গিয়ে তা ভেঙে দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত রাখার নির্দেশ দেন।

স্থানীয় মিজানুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, ‘রবিউল ভিলা সংলগ্ন পাইকবাড়ি এলাকার দীর্ঘদিনের একমাত্র রাস্তাটি আমরা নিজেরাই মেরামত করেছি। পরে পৌরসভা সংস্কার করতে আসলেও কামাল সরদার বাধা দেন। এখন তিনি তৃতীয়বার রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল তুলেছেন।’

এ বিষয়ে প্রবাসী কামাল সরদার দাবি করেন, ২০১১ সালে কেনা ২০ শতক জমির মধ্যে স্থানীয়রা তিনটি রাস্তা দাবি করছেন। আমি একটি রাস্তার জন্য এক শতক জমি দিয়েছি। বাকি জমিতে রাস্তা না দেওয়ায় তারা আমার নির্মিত দেয়াল বারবার ভেঙে ফেলেছে। তাই আমি আবারও দেয়াল তুলেছি।” আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

  • এস এম মিজান/এমআই
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর