Logo

সারাদেশ

প্লাটিলেট মেশিন না থাকায় নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গেুতে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে

Icon

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২

প্লাটিলেট মেশিন না থাকায় নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গেুতে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে

নারায়ণগঞ্জ শহর এখন ডেঙ্গুর তীব্র প্রকোপে বিপর্যস্ত। শীতলক্ষ্যার তীরঘেঁষা এই শিল্পনগরীতে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের করিডরগুলো রোগী-ভর্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় রেফার করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান জানান, জেলার কোনো হাসপাতালে ‘প্লাটিলেট কাউন্ট ও সেপারেশন মেশিন’ নেই। এই মেশিন দিয়ে দাতার রক্ত থেকে প্লাটিলেট আলাদা করে রোগীর শরীরে দেওয়া যায়, যা ডেঙ্গুর জটিল অবস্থায় জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের অন্তত ২০টির বেশি এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সদর হাসপাতাল ও ৩০০ শয্যা হাসপাতাল প্রতিদিন গড়ে ১০০–১৫০ রোগী দেখছে। তবে রোগীর সংখ্যা এত বেশি যে ঢাকায় রেফার না করলে অনেকের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুর জটিল অবস্থায় রোগীর শরীরে প্লাটিলেট কমে যায়, যা রক্তক্ষরণ ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন একমাত্র কার্যকর সমাধান। ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি হাসপাতালে এই সুবিধা থাকলেও নারায়ণগঞ্জে একটিও নেই। প্রতিদিন অন্তত ১৫–২০ জন রোগীকে মেশিন না থাকায় ঢাকায় পাঠাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা ও চিকিৎসকরা শিল্পপতি ও দানশীলদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দ্রুত নারায়ণগঞ্জে প্লাটিলেট মেশিন স্থাপন করা হোক। একটি আধুনিক মেশিনের মূল্য প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা, যা স্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী দ্রুত জোগাড় করতে সক্ষম।

চিকিৎসক ও নাগরিকরা বলছেন, ‘এটি রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত সুনামের বিষয় নয়, এটি মানুষের জীবন বাঁচানোর বিষয়।’

নারায়ণগঞ্জে অন্তত দুটি সরকারি হাসপাতালে মেশিন স্থাপন করা গেলে শত শত জীবন রক্ষা সম্ভব হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ‘প্লাটিলেট মেশিন চাই’ শীর্ষক প্রচারণা চলছে।

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ডেঙ্গু ভাইরাস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর