Logo

সারাদেশ

ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে রেড ক্রিসেন্টের ব্যয় ১০ কোটি টাকা

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১০

ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে রেড ক্রিসেন্টের ব্যয় ১০ কোটি টাকা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফেনী জেলায় চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যার পর রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে ১০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত মূল্যায়ন সভায় এই তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ফেনীর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন। প্রতিটি নদী পলি নিয়ে আসে, যার ফলে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। নদী শাসনের কাজ জরুরি। রেড ক্রিসেন্টের মতো সংস্থা এই কাজে অংশ নিতে পারে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। ফুলগাজী ও পরশুরাম এলাকার নিচু জায়গায় ঘরবাড়ি করার সময় উঁচু ভিটিই বানানো উচিত। ফেনীতে ভবিষ্যতেও বন্যা হবে, তাই জরুরি ভিত্তিতে রেসকিউ সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।’

ফেনী রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সদর দপ্তরের ডিআর ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক শাহীনুর রহমান, আইএফআরসি সিনিয়র ম্যানেজার হাসিবুল বারি রাজীব ও লাইভলিহুড ম্যানেজার মেহেদি হাসান শিশির।

ফেনী জেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের উপ-যুব প্রধান আবদুর হালিম জুলহাস পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ফেনী রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্যরা, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এবং স্থানীয় কমিউনিটি ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

সভায় বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে গ্রুপ প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২২৭ পরিবারকে ঘর, ৩১১ পরিবারকে ল্যাট্রিন এবং ২৩৯ পরিবারকে জীবিকায়নসহ মোট ৭৭৭ পরিবার পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা এবং ৬ হাজার ৫শ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—৫৫০০ পরিবারকে ৬ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা, ৫৭০ পিস ত্রিপল বিতরণ, ২৩টি স্থানে ১২ দিনের ফ্রি মেডিকেল সেবা, ৫ হাজার ৮শ পরিবারকে হাইজিন কিট বিতরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ৫৫০ শিশুদের হাইজিন কিট, ৩০টি নতুন টিউবওয়েল স্থাপন ও ২০টি পুরাতন টিউবওয়েল পুনর্গঠন, ৭ হাজার ৬শ ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ এবং ৩শ পরিবারকে ১০ ধরনের শীতকালীন সবজি বীজ প্রদান।

সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে পুনর্বাসন কার্যক্রমে।

এমরান পাটওয়ারী/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বন্যা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর