গুইমারায় প্রশাসনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান
ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪০
ছবি : বাংলাদেশের খবর
খাগড়াছড়িতে চতুর্থ দিনেও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে দুই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি রয়েছেন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শহরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। টমটম চলাচল করছে, তবে বিজিবি ও সেনাবাহিনী সন্দেহবাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দূরপাল্লার যানবাহন এখনও ছাড়ানো হচ্ছে না। সনাতন ধর্মালম্বীরা তাদের শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপে ভক্তদের উপস্থিতি নিশ্চিত করছেন।
গুইমারা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত রামসু বাজার পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসন ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারে আর্থিক ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েলসহ গুইমারা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ একদল লোক এসে দোকান-ঘরে অগ্নিসংযোগ চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। তারা বলছেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ ধরনের সংঘর্ষ এখানে কখনো ঘটেনি।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার থাকবে। ঘটনার তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, ‘এটি আমাদের সীমিত অনুদান। ক্ষতি কখনো পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের আমরা যতটা সম্ভব সহায়তা করব।’
গুইমারা উপজেলার রামসু বাজারে প্রায় ৫৩টি দোকান ও ৩০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির মোট পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি।
এআরএস

