ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধান-গম চাষে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪৮
-68dbfbe3e05eb.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
‘জিংক ধানের ভাত খেলে পুষ্টি, মেধা উভয় মিলে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলার তিন উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী মাইকিং প্রচারণা চালিয়েছে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের উপকারিতা তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল ও সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে। বার্তা ছিল একটাই—‘জিংক ধানের ভাত খেলে পুষ্টি ও মেধা দুটোই বাড়ে।’
হারভেস্ট প্লাস বাস্তবায়নের আওতায় রিয়েক্টস ইন প্রজেক্টের অংশ হিসেবে পরিচালিত এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমে ২৬টি ইউনিয়নের ৪৪টি গ্রামে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এতে শ্রুতিমধুর কণ্ঠ ও সঙ্গীতের মাধ্যমে কৃষকদের জিংক সমৃদ্ধ ধানের উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি তারা কৃষকদের হাতে বিভিন্ন জাতের উৎপাদন প্রযুক্তি ও তথ্যসম্বলিত লিফলেট ও ব্রোশিয়ার পৌঁছে দিয়েছে। এ জাতের ধান ও গম মানবদেহে জিংকের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্থানীয়রা জানান, প্রচারণার তথ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা আগামীতে জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষ করতে এবং ভাত হিসেবে খেতে আগ্রহী।
রিয়েক্টস ইন প্রজেক্টের ইএসডিও কো-অর্ডিনেটর কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিগত দুই বছর ধরে জেলা তিনটি উপজেলার কৃষকদের মধ্যে জিংক সমৃদ্ধ ধানের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
গ্রামীণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ইএসডিওর এই প্রচারণা ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
আবু সালেহ/এআরএস