Logo

সারাদেশ

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত, এলাকায় আতঙ্ক

Icon

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৫

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত, এলাকায় আতঙ্ক

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত আটজন রোগী শনাক্ত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর বিশেষজ্ঞরা।। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রায় ৫০ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অধিকাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি গরুর মাংস সংস্পর্শে এসেছিলেন।

আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছার সদর ও পারুল ইউনিয়ন থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে আটজনের দেহে অ্যানথ্রাক্সের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। ফ্রিজে সংরক্ষিত গরুর মাংস ও ছাগলের মাংসেও অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু পাওয়া গেছে।

উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রোগের উপসর্গ নিয়ে অন্তত ২৫-৩০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া বাহিরে আরও ২০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ তানভীর হাসনাত বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আক্রান্ত এলাকায় মেডিকেল টিম পাঠিয়েছি। আক্রান্তদের ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, তবে চিকিৎসকের মতে, মৃত্যুর কারণ অ্যানথ্রাক্স নয়।’

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রুহুল আমিন জানান, পীরগাছা ছাড়াও কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরে একই ধরনের উপসর্গ দেখা গেছে। নতুন করে আরও আটজনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক মজুত আছে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্থানীয়দের দাবি, গত দুই মাসে অ্যানথ্রাক্সে প্রায় দুই শত গবাদিপশু মারা গেছে। তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু ছাইদ জানিয়েছেন, পীরগাছাসহ চার উপজেলায় ১ লাখ ৬৫ হাজার গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই এবং সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর