৭ মামলায় জামিন নিয়ে আ.লীগ নেতা চন্দন নিখোঁজ

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৬

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট চন্দন কুমার পাল ৭টি মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নিখোঁ রয়েছেন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে গোপনীয়ভাবে তিনি মুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মুক্তির পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মুক্তির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কেউ অভিযোগ করছেন, তিনি ভারত চলে গেছেন, কেউবা বলছেন দেশেই আছেন।
বিষয়টি নিয়ে শেরপুর জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চন্দন কুমার পালের মুক্তি দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছে এবং এটি ক্ষমতাসীন মহলের প্রভাবকে প্রমাণ করে।
চন্দন কুমার পাল রাজনৈতিক সহিংসতা, হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলার আসামি। এনসিপি দাবি করেছে, তার মতো অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া মানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া।
শেরপুর জেলা কারাগারের জেলা কর্মকর্তা আব্দুস সেলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার আসামি চন্দন কুমার পাল ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে মুক্তি পান। পরবর্তীতে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায়ও জামিন মঞ্জুর করা হয়।
মুক্তির পর তার অবস্থান অজানা থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়েছে এবং সীমান্ত এলাকা মনিটরিং করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারেন এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেন।
জেলা বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি নেতা-নেত্রীরা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শেরপুরে ছাত্রজনতার আন্দোলনে জড়িত হত্যাকারী ও সহিংসতার মাস্টারমাইন্ডকে জামিনে মুক্তি দেওয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
মো. শাহরিয়ার শাকির/এমএইচএস