Logo

সারাদেশ

ভোলা-৪ : মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির ৫ নেতা

Icon

এম ফাহিম, চর‌ফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০০

ভোলা-৪ : মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির ৫ নেতা

গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৪ (চরফ্যাসন-মনপুরা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড় জমে উঠেছে। পুরোনো নেতৃত্বের পাশাপাশি নতুন মুখও এ আসনে দলীয় টিকিটের আশায় সক্রিয় হয়েছেন। ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচজন প্রভাবশালী নেতা এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

প্রার্থী প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন-তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম; কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন; বিএনপির আইনজীবী ফোরামের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নির্বাহী সদস্য শোয়েব মো. মুনতাছির মোর্শেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান রনভী।

তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, ‘২০১৮ সালেও আমি এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। রাজপথের আন্দোলনে বারবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি। তার দাবি, “রাজপথের পরিশ্রম বৃথা যায় না। এবারও দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘২০১৮ সালে মনোনয়ন ফরম তুললেও দলের নির্দেশে তা প্রত্যাহার করেন। এ বছর আবারও এলাকায় সক্রিয়ভাবে গণসংযোগ শুরু করেছেন। বাজারে বাজারে পথসভা, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভোটারদের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন। ভোলা-৪ আসনের উন্নয়নে আমার বাস্তবমুখী পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ট্যুরিজম আমার অগ্রাধিকার থাকবে।’

বিএনপির আইনজীবী ফোরামের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ বলেন, ‘আমি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিবে আশা করি। বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে এমপি হলে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত শহর গড়ে তুলব। চরফ্যাসনে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, সন্ত্রাস ও মাদক দমন।’

নতুন প্রজন্মের নেতা হিসেবে শোয়েব মুনতাছির বলেন, ‘আমার বাবা অধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমান চরফ্যাসন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমি আশা করি যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে দলের ও দেশের হয়ে চরফ্যাসন-মনপুরার উন্নয়নে কাজ করব।’

ব্যারিস্টার রনভী বলেন, ‘বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট আমলেও বিএনপি’র মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবং দলের হাইকমান্ড ভবিষ্যতের জন্য আশ্বাস দিয়েছিলেন। এইবার বিএনপি’র মনোনয়ন পেলে দলমত, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে বিজয়ী হওয়ার মধ্যে দিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করে দলকে উপহার দিব এবং চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলাকে আরও উন্নত ও আলোকিত করে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ আইডল দুটি উপজেলায় রূপান্তর করব, ইনশাল্লাহ।’

স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত-কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম নয়নপন্থী ও সাবেক এমপি নাজিম আলমপন্থী।

স্থানীয়রা বলছেন, এদের মধ্যে যেকোনো একজনকে মনোনয়ন দিলে আসনটি বিএনপির দখলে আসতে পারে।

চরফ্যাসন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর হোসেন মনে করেন, স্থানীয় ছেলে হওয়ায় নুরুল ইসলাম নয়নকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। তিনি প্রার্থী হলে বিএনপির বিজয় সম্ভব।

  • এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ভোটের হাওয়া বিএনপি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর