Logo

সারাদেশ

লালমোহনে সুপারির বাম্পার ফলন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা

Icon

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৩

লালমোহনে সুপারির বাম্পার ফলন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ভোলার লালমোহন উপজেলায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সুপারি চাষ। ধান ও শাকসবজির পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে, বাড়ির আঙিনা, বাগানবাড়ি ও পতিত জমিতে সারি সারি সুপারি গাছ দেখা যাচ্ছে।

সুপারি চারা একবার রোপণ করলে দীর্ঘদিন ফলন দেয়, তুলনামূলক কম খরচে চাষ করা যায় এবং বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় চাষিদের বিক্রিতে কোনো সমস্যা হয় না।

চলতি মৌসুমে লালমোহনে সুপারির ব্যাপক বাম্পার ফলন হয়েছে। আকারভেদে প্রতি ৩২০ পিস সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়।

স্থানীয় পাইকাররা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে সুপারি কিনছেন। লালমোহনের বাজারগুলো—গজারিয়া, কর্তারহাট, লর্ডহাডিঞ্জ, নাজিরপুর, মঙ্গলসিকদার, চতলা, রায়চাঁদ, ডাওরী, দেবিরচর, ফুলবাগিচা—জমজমাট বেচাকেনার কেন্দ্র।

উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চাষি মো. শামিম পাটওয়ারী জানান, ‘আমাদের ১৬০ শতাংশ জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। ফলন কিছুটা ছোট হলেও পরিমাণ বেশি হওয়ায় এ মৌসুমেও ভালো লাভ হবে।’

লালমোহন বাজারের আড়তদার আলম সওদাগর জানান, দৈনিক অন্তত ৩০ লাখ টাকার মতো সুপারি বিক্রি হয়, যা মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকার সমান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাইন বলেন, ‘এ বছর দুই থেকে তিনগুণ বেশি সুপারির উৎপাদন হয়েছে। পোকার আক্রমণ নেই এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। এটি গ্রামের মানুষকে সুপারি চাষে আরও আগ্রহী করবে। লাভজনক হওয়ায় এটি গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’

স্থানীয় কৃষি সচেতনরা মনে করছেন, পরিকল্পিত উদ্যোগ নিলে আগামী কয়েক বছরে সুপারি লালমোহনের গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম শক্তি হয়ে উঠবে।

সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর