Logo

সারাদেশ

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দোরগোড়ায় পরশুরামের ‘খন্ডল মিষ্টি’

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৫

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দোরগোড়ায় পরশুরামের ‘খন্ডল মিষ্টি’

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফেনীর পরশুরামের খন্ডল মিষ্টি এখন ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। গরুর দুধ থেকে ছানা, ছানা থেকে তৈরি এই মিষ্টি মূলত রসগোল্লার একটি ভিন্ন সংস্করণ। খন্ডল মিষ্টির ঐতিহ্য ও স্বাদই জিআই স্বীকৃতির আবেদন প্রক্রিয়ায় তুলে ধরা হয়েছে।

ফেনী পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের ছোট্ট খন্ডল হাই বাজারেই খন্ডল মিষ্টির উৎপত্তি। ১৯৭০-এর দশকে কবির আহমদ পাটোয়ারী যোগল চন্দ্র দাসের সহায়তায় মিষ্টি তৈরি শুরু করেন। বাজারের নামের সঙ্গে মিশিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ মিষ্টিকে ‘খন্ডল মিষ্টি’ বলা হয়। খন্ডলের মিষ্টির খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ায় বাজারটি সবসময় প্রাণবন্ত থাকে।

খন্ডল মিষ্টির জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছেন কবির আহমদ পাটোয়ারীর ছেলে, পাটোয়ারী মিষ্টি মেলার বর্তমান স্বত্বাধিকারী বেলাল আহম্মদ পাটোয়ারী। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, খন্ডল মিষ্টি কোন ভেজাল বা কেমিক্যাল ব্যবহার ছাড়াই উৎপাদিত হয়। প্রস্তুতির ধাপের মধ্যে রয়েছে গরুর দুধ থেকে ছানা তৈরি, ছানা ও ময়দা মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করা এবং বিশেষ সিরায় সিদ্ধ করা।

মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়ায় ১৭ কেজি দুধ থেকে প্রায় দুই কেজি ছানা পাওয়া যায়। এরপর তা ময়দা মিশিয়ে মিষ্টির আকারে তৈরি করা হয়। সিরায় সিদ্ধ করে প্রস্তুত হয় ঐতিহ্যবাহী খন্ডল মিষ্টি। কবির আহমদ পাটোয়ারীর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ফেনীর বিভিন্ন স্থানে খন্ডল মিষ্টির নামে অসংখ্য দোকান গড়ে উঠেছে। তবে মূল খন্ডল পাটোয়ারী মিষ্টি মেলার স্বত্বের যথাযথ স্বীকৃতি না থাকায় অনেকেই নকল মিষ্টি বিক্রি করছেন।

খন্ডল পাটোয়ারী মিষ্টি মেলার স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেন বলেন, ‘জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলে মিষ্টির ঐতিহ্য ও খ্যাতি রক্ষা করা সম্ভব হবে।’

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী পণ্যের স্বীকৃতি স্থানকে বাঁচিয়ে রাখে। খন্ডল মিষ্টি ও পরশুরামের আখের গুড়কেও জিআই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।’

এম. এমরান পাটোয়ারী/এআরএস 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর