ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নিয়মবহির্ভূতভাবে গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ শহীদ জিয়াউর রহমান ল কলেজের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মশিয়ুর রহমান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম, গোলাম মোস্তফা লোটন, রেজাউল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান ও লিয়াকত আলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, ‘দেশের সরকার পরিবর্তন হলেও, দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা আমরা মেনে নেব না।’

জানানো হয়, গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভায় স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যে জেলা কমিটি গঠনে উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সমঝোতা অথবা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে পদাধিকার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছিল। এছাড়া বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও অবৈধ সুবিধাভোগীদের বাদ দেওয়ার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অনুমোদিত কমিটির ১ নং আহ্বায়ক, ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কেউই উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নন, বরং তারা বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। জেলার পক্ষ থেকে চারটি কমিটি জমা দেওয়ার পরও গোপনে একটি প্যানেল থেকে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘোষিত কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ছয়জন পদত্যাগ করেছেন, ফলে কমিটির কোনো বৈধতা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘বর্তমান জেলা কমিটি অবৈধ। অবিলম্বে এটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির দায় কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকেই বহন করতে হবে।’

এম বুরহান উদ্দীন/এআরএস