তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যায় ভাসছে ১৫ হাজার পরিবার

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০
-68e35aeb4fdd0.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি ডিমলা ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তবে সকাল ৯টায় পানি কমে বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, ৭টায় ১২ সেন্টিমিটার এবং রাত ৮টায় ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এ কারণে পাউবো রেট এলার্ট জারি করেছিল।
পাউবোর গেজ পাঠক নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ডালিয়ায় গত দুইদিনে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তাতীরবর্তী এলাকার মানুষদের উঁচু জায়গায় সরতে বাধ্য হতে হয়েছে। চর গ্রামসহ নিন্মাঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার প্লাবিত হয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ও শৌলমারী ইউনিয়নের ৮ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাস্তাঘাট, আমন ধান, শাকসবজি, পুকুরের মাছ ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে স্থানীয়দের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা সামাল দিতে ব্যারাজে ৪৪টি জলকপাট (আইস গেট) খুলে রাখা হয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা সতর্ক রয়েছেন।
তৈয়ব আলী সরকার/এআরএস