দুদকের মামলায় সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের বাবা কারাগারে

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:২৫
---2025-10-06T162455-68e39903959e5.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাবেক নাজির মোহাম্মদ আল মাসুদ করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ অক্টোবর) আদালতে হাজির হলে জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদলত।
অভিযুক্ত সাবেক নাজির মাসুদ করিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোবাশ্বেরা করিম মিমির বাবা।
জানা গেছে, গত বছরের ৩০ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরগুনার বিশেষ জজ আদালতে মোহাম্মদ আল মাসুদ করিম ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি। পরে এ বছর ১১ সেপ্টেম্বর মাসুদ নাজির ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
এরপর আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্ত্রীসহ উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে মাসুদের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের জামিন মঞ্জুর করেন এবং নাজির মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক নাজির আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেছিল। কিন্তু তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়৷
মামলা সূত্রে জানা যায়, দুদক পটুয়াখালীর সমন্বিত কার্যালয়ের অনুসন্ধানকালে মাসুদের গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা। যেখানে তার নিজের নামে ২ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ২০২ টাকার সম্পদ ও স্ত্রী খাদিজা আক্তারের নামে ২২ লাখ ৭ হাজার ১৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৩ টাকা ঋণ বাদে তার নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে অর্জিত নিট সম্পদ পাওয়া গেছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ৩৬৪ টাকা।
তিনি পারিবারিক ব্যয় দেখিয়েছেন ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৩ টাকা। মাসুদের ও স্ত্রীর নামে অর্জিত মোট সম্পদের মূল্য তদন্তে পাওয়া গেছে ২ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০৭ টাকা। তদন্তে ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা আয় ব্যতীত তার নিজ ও স্ত্রীর নামে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মূল্য পাওয়া গেছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকা। এছাড়া আসামি মোহাম্মদ আল মাসুদ করিমের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে মাসুদ ও তার স্ত্রী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন আনেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে মাসুদ করিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এবং অপর আসামি নারী হওয়ায় তাকে জামিন দেয় আদালত।’
- খান নাঈম/এমআই