এবার বগুড়ায় প্রায় সাড়ে ৯ লাখ শিশু, কিশোর-কিশোরীকে দেওয়া হবে টাইফয়েড টিকা। টাইফয়েড টিকা পেতে জন্মনিবন্ধন দিয়ে অনলাইনে টাইফয়েড টিকাদান নিবন্ধন করতে হবে।

টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫। এ উপলক্ষে সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক জেলা পর্যায়ের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা।  

সভায় জেলা তথ্য অফিস ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে সচেতনতামূলক করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, ‘টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। এই টিকায় ভয়ের কিছু নেই। ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে নির্দিষ্ট দিনে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে টিকাদান কেন্দ্রে আসতে অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মো. শাহনেওয়াজ, সিভিল সার্জন ডা. খুরশীদ আলম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম।

নিবন্ধন ছাড়া টাইফয়েড টিকা নিতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে সিভিল সার্জন ডা. খুরশীদ আলম বলেন, সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে, অথবা নির্দিষ্ট টিকাদান ক্যাম্পেইনে সরাসরি উপস্থিত হয়েও টিকা দেওয়া যাবে।

সভায় টাইফয়েড মোকাবিলা টিকাদানের গুরুত্ব তুলে ধরে ৯ মাসের শিশু থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত সকল শিশু কিশোর-কিশোরীদেরকে এই টিকাদান কর্মসূচি আওতায় আনার জন্য সাংবাদিকদের প্রচারণার মাধ্যমে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

জেলা তথ্য অফিস সূত্র জানা যায়, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় বগুড়া জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় অনলাইনে আড়াই লাখের বেশি নিবন্ধন করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

• জুয়েল হাসান/এমআই