শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ২৪ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল হোতা এখনও পলাতক রয়েছে। পাশাপাশি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত চারটি সিএনজি ও তাদের চালকদেরও আটক করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) রাত থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত  ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি)-এর অধীনস্থ ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদীগ্রাম বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ১১১০/এমপি থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে গজারি বাগান নামক স্থানে অভিযান চালায় বিজিবি।

৩৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে টহল দল চারটি সিএনজিতে থাকা ২৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, দালালদের সহায়তায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের চেন্নাই শহরে রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক হিসেবে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিজন ৫ হাজার টাকা করে দালাল চক্রকে প্রদান করেছিলেন। আটক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য মিলন হক (৩৫) ও মজনু মিয়া (৩৬)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আর চক্রের মূল হোতা মহিদুল ইসলাম (৩০) পলাতক রয়েছে।

অভিযানে চারটি সিএনজি, ১৪টি মোবাইল ফোন, একটি পাওয়ার ব্যাংক, একটি হাতঘড়ি এবং নগদ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই গুরুতর। বিজিবি কর্তৃক আটককৃত মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি পাসপোর্ট ছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টার অভিযোগে ২৪ বাংলাদেশি নাগরিক ও চার সিএনজি চালকের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা মানবপাচার চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’

• শান্ত শিফাত/এমআই