২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে : মৎস্য উপদেষ্টা

সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১৮
-(89)-68e6486d2cca0.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য সরকার নির্ধারিত ২২ দিন সফলভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের খামারিরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতির প্রজনন এবং গো-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার যেই সময়কালটা নির্ধারিত হয়, আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা ধরে এবং আমাবস্যা-সেই কারণে তারিখটা পরিবর্তন হয়। এটি গত বছর ছিল অক্টোবরের ১৩ তারিখ, এ বছর এটা পড়েছে অক্টোবরের ৪ তারিখ। এই ২২ দিন একেবারে বৈজ্ঞানিকভাবে, এমনকি জেলেদেরও মতামত নিয়ে আমরা এটি নির্ধারণ করেছি। এই ২২ দিন যদি আমরা সফলভাবে কার্যকর করতে পারি, ইলিশ ধরাটা কমাতে পারি, বা না ধরি, তবে উৎপাদন বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘জেলেদেরকে এর জন্য আমরা ২৫ কেজি করে চাল দিচ্ছি। তো সেটি যদি তারা না ধরেন, তবে গত বছরের যেই ফলাফল, সেটি ছিল যে ৫২ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছিল ইলিশের। অর্থাৎ এই ২২ দিন যদি আমরা মা ইলিশকে রক্ষা করতে পারি, তবে উৎপাদন বাড়বে।’
এ সময় ইলিশের আকাল তৈরি হওয়ার পেছনের অন্যান্য আরও কারণ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের পরবর্তীকালের আকাল হওয়ার কারণটা মূলত ভিন্ন। যেমন নদীতে নাব্যতা সৃষ্টি, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি ঠিকমতো না হওয়া। এছাড়াও এখনও বড় দুটি সমস্যা আছে-একটি হচ্ছে অবৈধ জালের ব্যবহার, আরেকটি হচ্ছে জাটকা ধরা।’
তিনি বলেন, ‘এই জাটকা নিধনটা আমরা যদিও এপ্রিল মাসে ৫৮ দিনের একটা নিষেধাজ্ঞা দেই, সেসময় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ এবং আমাদের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন, কিন্তু তারপরেও এটি দুঃখজনক যে আমাদের অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা স্বল্পমেয়াদি মুনাফা চান, তারা জেলেদের বাধ্য করেন এগুলো ধরতে। এটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি আগামী মৌসুমে আপনারা ভালো রেজাল্ট পাবেন।’
এসময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
- আরিফুল ইসলাম সাব্বির/এমআই