Logo

সারাদেশ

স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে শোকাহত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৪

স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে শোকাহত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

পাবনায় স্বামী স্বপন প্রামানিক রহস্যজনকভাবে নিহত হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী মায়া খাতুন ও পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন স্বপনকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরিবার মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসির দাবি করেছেন। পুলিশ এখনও তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানায়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব পাবনার মিলনায়তনে নিহত স্বপন প্রামাণিকের স্ত্রী মায়া খাতুন ও পরিবারের সদস্যরা শোকভরা কণ্ঠে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। মায়া খাতুন বলেন, কয়েক বছর ধরে তার স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যার নাম রত্না খাতুন। স্বপন মাঝে-মধ্যে ওই স্ত্রীর বাড়িতে যেতেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পরিবারের সদস্যরা আরও, শনিবার সকালে স্বপন কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। দুই দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া না গেলে চূড়ান্তভাবে সোমবার বিকেলে পরকীয়া প্রেমিকা রত্না খাতুন পরিবারকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলেন, স্বপনের অবস্থা খারাপ, তাদেরকে ক্ষেতুপাড়া আসতে হবে। পরে তারা জানতে পারেন, স্বপন মারা গেছেন এবং মরদেহ সাঁথিয়া থানায় রাখা আছে। পুলিশ পরে মরদেহ উদ্ধার করে।

মায়া খাতুন অভিযোগ করেন, আমাদের স্বামীকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ কৌশলে আমাকে জোর করে একটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়েছে, পরে জানতে পেরেছি সেটা অপমৃত্যুর কাগজ। খাটের নিচে মরদেহ পাওয়া গেছে, এটা অত্যন্ত রহস্যজনক।

নিহতের কন্যা স্বপ্না খাতুন, শ্রাবন্তী খাতুন ও ছেলে আশিক সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তারা বলেন, “বাবা তার কাছে ওই মহিলা (রত্না) সম্পর্কে কথা বলত ও তাকে টাকা দিতেন। কখনও শাসাও করতেন। আমাদের ধারণা, টাকার জন্যই বাবাকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে, কেন তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হল, আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।

শোকগ্রস্ত পরিবার রত্না খাতুন ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন, বিশেষত ফাঁসির অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

প্রতিবেদন প্রস্তুতির সময় সাঁথিয়া পুলিশ বা স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিহতের মরদেহ সাঁথিয়া থানায় রাখা আছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে আদালতের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে পরিবার জানায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও ঘটনার প্রেক্ষাপট যাচাই করে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা হবে। (পুলিশ সূত্রে পরবর্তী বিবরণ সংগ্রহ করে জানানো হবে)।

স্থানীয় জনতা ও প্রতিবেশীরা ঘটনার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন। পরিবার বলেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা থেমে থাকবে না এবং যতটুকু সম্ভব তথ্য-প্রমাণ সঞ্চালন করে সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করবেন।

  • শফিক আল কামাল/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

হত্যা / খুন সংবাদ সম্মেলন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর