Logo

সারাদেশ

চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকা প্রদানে টার্গেট ৮ লাখ শিশু

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁদপুর

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:২৩

চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকা প্রদানে টার্গেট ৮ লাখ শিশু

চাঁদপুর জেলায় টাইফয়েড টিকা প্রদানে টার্গেট ৮ লাখ শিশু। ছবি : বাংলাদেশের খবর

চাঁদপুরে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে জেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় এ টিকা প্রদানের টার্গেট শিশুর সংখ্যা ৮ লাখ ৫ হাজার ২৪৫ জন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সভার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস।

এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার ও সমন্বয়) ডালিয়া ইয়াসমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, এ টিকা সরকার বিদেশ থেকে কিনে এনেছে। এটি বিনামূল্যের নয়। তাই এ টিকা খারাপ হওয়ার কথা নয়। গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না। আপনারা যদি গুজবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান তাহলে শিশুরা এ টিকা নিতে আগ্রহী হবে। আশা করি সরকারের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুজব প্রতিরোধ ও টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব তুলে ধরে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা তথ্য অফিস এ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীনের সভাপতিত্বে এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ।

টাইফয়েড টিকা কার্যক্রমের টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন ও তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমওসিএস) ডা. মো. সাখাওয়াত হোসেন।

মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন পরামর্শ ও টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সমস্যা তুলে ধরে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন।

সভায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে) ১৮ কর্মদিবসে জেলায় টাইফয়েড টিকা প্রদানে ৮ লাখ ৫ হাজার ২৪৫ জন শিশুকে টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৪ জন। ৯ মাস থেকে ১৫ মাস বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪০১ জন। ইতোমধ্যে ৪১ শতাংশ শিশুর অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়াও টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫৮টি। কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৪২৪টি। টিকাদানকারী টিমের সংখ্যা ৩১৩টি। সর্বমোট টিকা প্রদানকারী ৬১৬ জন এবং স্বেচ্ছাসেবী ৯১৯ জন। সর্বমোট প্রথম সারির তদারককারীর সংখ্যা ৩০৩ জন।

আলআমিন ভূঁইয়া/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর