অটোচালকের মাথায় গুলি করে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁদপুর
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৬
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অটোচালক মিজানুর রহমানের মাথায় গুলি করে হত্যার প্রধান আসামি মো. নাহিদ গাজীকে (৩৫) ঢাকা বাড্ডা থানা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেপ্তার নাহিদকে চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার নাহিদ গাজী উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. হান্নান গাজীর ছেলে।
নিহত মিজানুর রহমান একই উপজেলার পশ্চিম এখলাছপুর মিজি বাড়ির ফয়েজ উল্ল্যাহর ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, নিহত মিজানুর রহমান পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। ২৫ বছর আগে নদীতে বাড়ি ভেঙে যাওয়ার কারণে বর্তমানে তারা নারায়ণগঞ্জে ভাড়াবাসায় বসবাস করেন। পৈত্তিক ও নানার বাড়ি এখলাছপুর হওয়ায় তিনি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতেন।
গত ১৩ আগস্ট রাতে হাশিমপুর গ্রামের মিন্টুর দোকানের সামনে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাত ১টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে তাকে মারধর করে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি নামে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব পান মতলব উত্তর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন।
এর ধারাবাহিকতায় বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার বাড্ডা থানা থেকে আসামি নাহিদ গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটি একটি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড। হত্যার পর আসামি নাহিদ তার ছোট ভাই নাজমুলের মোবাইল ফোন দিয়ে নূরু খালাসী নামের এক ব্যক্তিকে ফোন করে বলে, ‘মিজানকে মেরে ফেলছি, এবার তোর পাল্লা।’ এ সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর অবশেষে নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, নাহিদকে বুধবার ঢাকা বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান।
আলআমিন ভূঁইয়া/এমবি

