ফরিদপুরে মসজিদের চাবি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫০

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:১৭

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফরিদপুরের সালথায় মসজিদের চাবি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যার সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। চলমান বিরোধের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লুৎফর রহমান ও ইমরানের সমর্থক নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
দিনভর উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা গিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তারা উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
এ সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মো. পারভেজ মিয়া/এমবি