পঞ্চগড়ে শীতের আগমন, ভোরে কুয়াশায় ঢাকল প্রকৃতি

এসকে দোয়েল, পঞ্চগড়
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৩
-68e9cb67b1cb8.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে নামতে শুরু করেছে শীত। বিদায় নিচ্ছে শরৎ, হেমন্তের আগমনী বার্তায় ভোরে কুয়াশায় ঢাকছে প্রকৃতি। কুয়াশার আস্তরণে ভিজে যাচ্ছে ঘাস, জমছে শিশির। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের পরশ অনুভব করছেন এখানকার মানুষ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পরিবেশ-প্রকৃতি। শহর ও গ্রামীণ সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহনকে। দিনের বেলায় গরম থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমছে, শীতল হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেকেই পাতলা কাঁথা কিংবা কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন।
পঞ্চগড়ের বাসিন্দারা জানান, ভোরে বেশ কুয়াশা পড়ছে। আশ্বিন মাস শেষের পথে, কার্তিক পড়তেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায়। রাতে আর ফ্যান চালানো যাচ্ছে না, পাতলা কাঁথা বা কম্বল জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। ভোর পর্যন্ত শীতের পরশ টের পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এখনো ঘন কুয়াশা কিংবা তীব্র শীত নামেনি।
ভৌগোলিক কারণে পঞ্চগড়ের কাছাকাছি রয়েছে হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতমালা। বরফঢাকা পাহাড় থেকে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে শীতকালে এ অঞ্চলে দ্রুত তাপমাত্রা নেমে যায়। ফলে দেশের অন্য জেলার তুলনায় পঞ্চগড়ে শীত বেশি হয় এবং আগে আসে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তর গোলার্ধের শীত সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে না। হিমালয় থেকে আসা শীতল বায়ুর একটি অংশ কাশ্মীর, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে শীত মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ে সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘মৌসুমি বায়ুর নিস্ক্রিয়তার কারণে কুয়াশা পড়ছে। এটা বেশি সময় থাকে না। তবে শীত পড়তে শুরু করেছে। দেশের অন্যান্য জেলার আগে এ জেলায় শীত নামে।’
এআরএস