ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেহাল সড়ক মনিটরিং কমিটির সদস্য বদলি, দায়িত্বে নির্বাহী প্রকৌশলী

লিটন হোসাইন জিহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৬
-68e9dc6956099.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে বেহাল সড়কের মনিটরিং কমিটির একজন সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান এ আদেশ জারি করেন।
বদলির আদেশ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদকে কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগে বদলি করা হয়েছে। আদেশে বদলির কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। বর্তমানে তিনি জাপানে জাইকার একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করছেন।
মীর নিজাম উদ্দিন মনিটরিং কমিটির ৭ নম্বর সদস্য ছিলেন। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। দুই কর্মকর্তাকে আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৮ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক পরিদর্শন শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, সড়কের কাজ তদারকির জন্য ১২ জন কর্মকর্তাকে মাঠ পর্যায়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকায় থেকে সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন। কেউ দায়িত্বে অনুপস্থিত থাকলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।’
এরপর বৃহস্পতিবার ১২ কর্মকর্তার নিয়োগের অফিস আদেশ গণমাধ্যমে পৌঁছায়। আগে, ৪ অক্টোবর প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের স্বাক্ষরিত আদেশে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘আশুগঞ্জ নদীবন্দর–সরাইল–ধরখার–আখাউড়া স্থলবন্দর চার লেন জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’-এর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে রয়েছেন সাসেক ও আশুগঞ্জ–আখাউড়া চার লেন প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক, কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ঢাকা তেজগাঁও মনিটরিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ আরও কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যরা মহাসড়কের সাইট ক্যাম্পে অবস্থান করে ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলোর মেরামত কাজ নিবিড়ভাবে মনিটর করবেন এবং দ্রুততম সময়ে স্বাভাবিক যান চলাচল নিশ্চিত করবেন। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করবেন। কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রতিদিন প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে জমা দিতে হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ১২ কর্মকর্তা প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত নেই। তবে শুক্রবার সকালে তারা মাঠে কাজ শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০.৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়। নানা জটিলতার কারণে পাঁচ বছরেও কাজ শেষ হয়নি। গত দুই বছর ধরে প্রকল্পের কাজ প্রায় বন্ধ থাকার ফলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এআরএস