কোটালীপাড়ায় খাল দখলমুক্তে অভিযান, জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৫১

ছবি : বাংলাদেশের খবর
বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। স্থানীয়রা জানান, খাল এবং জলাশয় দখল, ভরাট এবং প্রভাবশালীদের অনিয়মের কারণে অধিকাংশ খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে অপরিকল্পিত বাঁধ। এতে খালের স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে ভারী বৃষ্টিতে জল জমে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা চাইছেন বিদ্যমান খাল দখলমুক্ত ও খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হোক। সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব।
এদিকে, চাষি ও সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগ লাঘবে এবং দ্রুত পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে রোববার (১২ অক্টোবর) কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের মচারতারা গ্রামে (হিজলবাড়ি মৌজা) কালভার্টের মুখ আটকে মাছ চাষ করায় খালের বাঁধ কেটে দখলমুক্ত করা হয়েছে। কালভার্টের নিচে গড়ে ওঠা ইটের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘মচারতারা গ্রামে খাল দখলমুক্ত করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে এবং সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, ‘ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইনের পরও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারি খাল ও জলাভূমি দখল করছেন। ভবিষ্যতে পানি চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টির ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, ‘অবৈধ বাঁধ ও কালভার্ট বন্ধ করার কারণে খালের স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন হয়। ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা এড়াতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাগুফতা হক বলেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কৃত্রিমভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী প্রতিটি খাল উদ্ধার করা হবে।’
অংকন তালুকদার/এআরএস