চীনের জিনজিয়াং রাজ্যের কারামাই শহরে ওয়ার্ল্ড এশিয়া স্কেটিং-এর তত্ত্বাবধানে এবং চায়না রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক স্কেটিং টুর্নামেন্টে ১৭ দেশের তিন শতাধিক স্কেটারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে বগুড়ার নাবীয়্যূন ইসলাম পৃথিবী একাই দুটি স্বর্ণপদক জিতেছেন। বাংলাদেশের রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের ৩০ বছরের ইতিহাসে এটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।

গত ১০ অক্টোবর ৫০০ মিটার স্পিড ও ১২ অক্টোবর ১০০০ মিটার স্প্রিন্টে ডি ক্যাটাগরির জুনিয়র এ গ্রুপে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাতজন খেলোয়াড়ের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন নাবীয়্যূন ইসলাম পৃথিবী।

দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষার পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফিরেই বাংলাদেশি রোলার স্কেটাররা অভাবনীয় সাফল্য দেখায়। এই সাফল্যের মূল নায়ক বগুড়ার সন্তান নাবীয়্যূন ইসলাম পৃথিবী। তিনি একাই দুটি স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশের স্কেটিং ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের হয়ে অংশ নেওয়া আতাহার শিহাব অদিত আরও দুটি পদক জিতেছেন।

বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘নাবীয়্যূন ইসলাম পৃথিবী চীনে বেল্ট অ্যান্ড রোড এশিয়ান রোলার স্কেটিং প্রতিযোগিতায় অবিশ্বাস্য দক্ষতায় পারফর্ম করেছে। এই জয় শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি এশিয়ার রোলার স্কেটিং ইতিহাসেও এক মাইলফলক।’

ঢাকার বাইরের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নাবীয়্যূন প্রায় আট বছর ধরে স্কেটিংয়ে যুক্ত। তিনি বগুড়া রোলার স্কেটিং ক্লাবের হয়ে অনুশীলন করছেন।

ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ আশরাফুল ইসলাম রহিতের বড় ছেলে নাবীয়্যূন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামার আগে দুটি জাতীয় ইভেন্টে রৌপ্যপদক জিতেছেন এবং রোপ স্কিপিংয়ে চলতি বছর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

নাবীয়্যূনের বাবা আশরাফুল ইসলাম রহিত বলেন, ‘ছেলের এমন ঐতিহাসিক সাফল্যে আমি গর্বিত। এশিয়ার ১৭টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে ৩০ বছরের ইতিহাসে দুটি গোল্ড মেডেল পাওয়া একটি বিশাল অর্জন। দোয়া করি সে আরও এগিয়ে যাবে।’

গত ৮ অক্টোবর ১০ সদস্যের বাংলাদেশ দল চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা ছিলেন আকিফ হামিদ, মুনজির আফনান বিশ্বাস, আতাহার শিহাব অদিত, জারিফ আহমেদ সরকার, ফ্যালিশা রুজবেহ ও আফরাজ বিন আরিফ। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা শেষে বাংলাদেশ দল ১৫ অক্টোবর দেশে ফিরবে।

জুয়েল হাসান/এআরএস