Logo

সারাদেশ

সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে বসানো অর্ধশত দোকানপাট উচ্ছেদ

Icon

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন, কক্সবাজার

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০০

সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে বসানো অর্ধশত দোকানপাট উচ্ছেদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অর্ধশতাধিক দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা। উচ্ছেদ কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয় একটি এক্সকাভেটর।

এর আগে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে নতুন স্থাপনা ১১ অক্টোবর রাতের মধ্যে এবং পুরোনো স্থাপনা ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান জানান, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সৈকতের পরিবেশ রক্ষা ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অন্তত ৫০টি দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুপুর ২টার মধ্যে মালিকদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা না করায় প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, শনিবার রাতের মধ্যে স্থাপনা সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা অমান্য করায় রবিবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত এক বছরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, সুগন্ধা, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতে শতাধিক দোকানপাট ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের বদলির পরপরই সুগন্ধা সৈকতে দ্রুতগতিতে টংঘর ও দোকান বসানো হয়।

সরকার ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতকে ‘প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা’ (ECA) ঘোষণা করে। সংশ্লিষ্ট আইনে জোয়ার-ভাটার এলাকা থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালেও একাধিকবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল।

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

উচ্ছেদ অভিযান

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর