পোরশায় শিশু সুমাইয়ার হত্যা রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২০:১০
-68ebb6c678928.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় নয় বছরের শিশু সুমাইয়া ইয়াসমিন হত্যার রহস্য পুলিশ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে এক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে পোরশার ছাওড় ইউনিয়নের হীরাডাঙ্গা গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের কন্যা সুমাইয়া ইয়াসমিন খাবার শেষ করার পর খেলাধুলার জন্য বাড়ির বাইরে যায়। কিছু সময় পর জানা যায়, হীরাডাঙ্গা গ্রামের মোশারফ হোসেন মশার আমবাগানে সুমাইয়াকে হাত বেঁধে, মুখের মধ্যে মাটি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পোরশা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
মামলার পর নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম-এর তত্ত্বাবধানে, মহাদেবপুর সার্কেলের তদারকিতে এবং পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিন্টু রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল মামলার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে।
আভিযানিক দলের প্রচেষ্টায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোববার (১০ অক্টোবর) রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার কুশারপাড়া ও পাঁচরাই গ্রামের মাহবুব আলম (৩০), সুজন (১৯) এবং মো. নুর আলম (৩০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সুমাইয়া একটি প্লাস্টিকের সাদা ব্যাগ নিয়ে পেয়ারা আনার জন্য ধৃত আসামি মাহবুবের কাছে যায়। মাহবুব শিশুটিকে বাগানে নিয়ে যায় এবং সেখানে আসামিরা পালাক্রমে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে তারা কাপড়ের মোটা ফিতা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে, হাত বেঁধে এবং মুখের মধ্যে মাটি দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় চার আসামির মধ্যে একজন এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষে দ্রুত পুলিশ রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হবে।
আব্দুর রাজ্জাক/এআরএস