Logo

সারাদেশ

আলফাডাঙ্গায় তথ্য গোপন করায় খাদ্যবান্ধব ডিলারের বরাদ্দ স্থগিত

Icon

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২৩

আলফাডাঙ্গায় তথ্য গোপন করায় খাদ্যবান্ধব ডিলারের বরাদ্দ স্থগিত

ঘটনাস্থলে সরেজমিনে তদন্ত করছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তথ্য গোপন করে নীতিমালা পরিপন্থীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে।

স্থগিত হওয়া ডিলারের নাম অনিক শেখ। তিনি গোপালপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ইউনিটের কুচিয়াগ্রাম বাজারের বিক্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১২টি বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য ২৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১১ জন ডিলার চূড়ান্ত করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয় ‘আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই ও সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রার্থীদের যোগ্যতা বিবেচনা করে নীতিমালার আলোকে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সুপারিশক্রমে’।

কুচিয়াগ্রাম বাজারের বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য দুইজন আবেদনকারী ছিলেন—মো. অনিক শেখ ও মো. আরিফুজ্জামান।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর মো. আরিফুজ্জামান জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, অনিক শেখ তথ্য গোপন করে নীতিমালা ভঙ্গ করে ডিলারশীপ পেয়েছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চাল রাখার জন্য যে ঘর তিনি দেখিয়েছেন, সেটি ইউনিয়নের বাইরে পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত এবং ১৫ মেট্রিক টন চাল রাখার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া দোকান ঘরের দলিল তার বাবার নামে এবং কোনো চুক্তিপত্র বা ওয়ারিশ সনদ তিনি জমা দেননি। পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স না নিয়ে তিনি ইউনিয়নের লাইসেন্স ব্যবহার করেছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ৬ অক্টোবর সরেজমিন তদন্ত করেছেন। তিনি জানান, ‘গোপালপুর ইউনিয়নের মধ্যেও অনিক শেখের একটি ঘর রয়েছে। তবে ডিলারশীপের জন্য যে ঘর দেখানো হয়েছে, সেটি পৌরসভার মধ্যে। সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

অভিযুক্ত অনিক শেখ জানান, ‘তথ্য গোপনের বিষয়টি সঠিক নয়। আমার বড় ঘর ইউনিয়নে রয়েছে। ভুলবশত পৌরসভার দলিল জমা পড়েছে। এটি একটি ভুল। তদন্তে এই ভুল মার্জনার দৃষ্টিতে দেখলে আমার ডিলারশীপ থাকবে। আমি একজন ব্যবসায়ী এবং আমার একটি রাইচ মিলও আছে।’

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ধনঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আবেদনকারীদের জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই কালে কোনো দুর্নীতি ঘটেনি। মন্তব্য করার আগে তদন্ত শেষ হতে হবে।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি রাসেল ইকবাল বলেন, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ওই ডিলারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।’

মিয়া রাকিবুল/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

দুর্নীতি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর