মানিকগঞ্জে একদিনে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) জেলার সদর, ঘিওর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলায় পৃথক ঘটনায় এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে দুইজন সদর উপজেলায়, আর বাকিরা ঘিওর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

দুপুরে জেলা শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে আবু হানিফ (২৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আবুল বসরের ছেলে এবং বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতেন।

সদর থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের সাবেক স্ত্রী জরুরি সেবায় ফোন করে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া সদর উপজেলার জয়রা এলাকায় মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক মানসিক ভারসাম্যহীন মধ্যবয়সী ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকা থেকে সোনা মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের বেড়াভাঙ্গা এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে।

ঘিওর থানার ওসি কোহিনুর ইসলাম জানান, সোনা মিয়া তার বোনের জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রোববার রাতে ঘুমাতে যান। সকালে ঘরের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতের স্ত্রী জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হয়েছেন।

সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের দেউলি এলাকায় রোজিনা আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আয়নাল মিয়ার স্ত্রী।

সিংগাইর থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম জানান, রোববার রাতেই রোজিনা বিষপান করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলার ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানায় কাজ করার সময় ড্রামের চাপায় রাসেল মাহমুদ (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হন। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার রুহুল্লী এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।

সাটুরিয়া থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে কারখানায় ছাদ থেকে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম পড়ে রাসেলের ওপর চাপা পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই মৃত্যু হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআরএস