প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ শিকারের অপরাধে ৪৫ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর সদর উপজেলা এবং শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলাধীন মেঘনা ও পদ্মা নদীতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। অভিযানে অংশ নেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নরসিংহপুর, সুরেশ্বর ও মাঝিরঘাট নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জগণ ও শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার প্রতিনিধি।

অভিযান চলাকালে ৪৫ জন জেলেকে আটক করা হয়। যার মধ্যে ৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ সময় ১৫টি নৌকা ও প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মিটার নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশের পরিমাণ প্রায় ১০০ কেজি। যা পরবর্তীতে স্থানীয় দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জব্দকৃত কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে স্ব স্ব থানায় ২৩টি মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।

অভিযান শেষে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, সরকার ঘোষিত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে নৌ পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে যারা ইলিশ আহরণে লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মা ইলিশ রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ইলিশ সম্পদ নিশ্চিত করা।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

আলআমিন ভূঁইয়া/এমবি