Logo

সারাদেশ

বগুড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

Icon

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪৪

বগুড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জোড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অবৈধ উপায়ে পরীক্ষা পরিচালনা এবং সরকারি সাবমার্সিবল পাম্প বিক্রয়ের মতো গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

 এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার জমা দিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, সেগুলোর তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে: বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে আর্থিক লেনদেনে বড় ধরনের অনিয়ম ও হিসাবের গরমিল, বিধি-বহির্ভূত ও অবৈধ উপায়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পরিচালনা এবং সরকারিভাবে পাওয়া সাবমার্সিবল পাম্প অবৈধভাবে বিক্রি করা।

প্রধান শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ডের ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগগুলোর সত্যতা মেলার পর নতুন অভিযোগও উঠেছে। জমি দাতা সদস্যদের নিকট থেকে জমি অ্যাগ্রিমেন্ট ও স্কুল উন্নয়নের নামে বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন চাঁন বলেন, ‘দাতা সদস্য গোলাম রব্বানীর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জমি অ্যাগ্রিমেন্টের কথা বলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এই টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে না দিয়ে সম্পূর্ণভাবে পকেটস্থ করেছেন। এছাড়াও, স্কুল উন্নয়নের নামে আরও ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’

দাতা সদস্য গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জমি এগ্রিমেন্টের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। আমরা টাকা দিয়েছি, কিন্তু তিনি সেই টাকা স্কুলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।’

প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমকে দ্রুত তার পদ থেকে অপসারণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বিদ্যালয়টিকে এই ভয়াবহ আর্থিক ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। যদিও তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রিপোর্টও দেওয়া আছে।’

  • মো. আব্দুল ওয়াদুদ/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

দুর্নীতি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর