জুলাই ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘জুলাই যোদ্ধা’কে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪২
					ছবি : সংগৃহীত
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির স্ত্রী। তাঁর স্বামীকে জুলাই ফাউন্ডেশনে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সাত মাস আগের ঘটনায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মামলাটি করেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার স্বামী বুলবুল শিকদার জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সরকারি গেজেটে তালিকাভুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।
মামলায় সাবিনা ইয়াসমিন জুলাই ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার পাশাপাশি আরও ৩ জনকে আসামি করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ইলতুৎমিস সওদাগর।
আইনজীবী ইলতুৎমিস বলেন, নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১১ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলায় জুলাই ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাগর, মেহেদী হাসান প্রিন্স, আফজালুর রহমান সায়েম, সাইদুর রহমান শাহিদ, ফাতেমা আফরিন পায়েল, রেজা তানভীর, আলিফ, জাহিদ, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী এবং সোনিয়া আক্তার লুবনা, শামীম রেজা খান ও রাকিনকে আসামি করা হয়েছে।
আইনজীবী ইলতুৎমিস সওদাগর আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুরুতর জখম হন বুলবুল শিকদার ও তাঁর ছেলে। পরে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তাঁদের নাম গেজেটভুক্ত হয়।
গত ২০ মার্চ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে গিয়ে বুলবুল শিকদার নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন দাবি করে মামলায় সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সেদিন ভুয়া জুলাই যোদ্ধা হিসেবে অভিযোগ তুলে তাকে ২৪ ঘণ্টা আটক রেখে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কক্ষে নির্যাতন করা হয়।’
ঘটনার এত দিন পর মামলা করার কোনো ব্যাখ্যা সাবিনা ইয়াসমিনের আইনজীবীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জুলাই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়। এই ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে জুলাই যোদ্ধাদের সহায়তা করা হচ্ছে।
- ইমতিয়াজ আহমেদ/এমআই
 

